বাংলাদেশে কিভাবে? ই-কমার্স ও এফ কমার্স বিজনেস বিস্তারিত

বাংলাদেশে কিভাবে ই-কমার্স ও এফ কমার্স  বিজনেস ২০২৪ সালে আপনি বাংলাদেশে লোকালই ই-কমার্স এবং এফ কমার্স বিজনেস শুরু করবেন। আমি এই কনটেন্টে চারটি পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করব। এই পয়েন্ট জানার পরে আপনি শিওর হতে পারবেন বা সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কেন আপনার এখনই কমার্স এবং এফ কমার্স বিজনেস শুরু করা উচিত না হলে আপনি কি মিস করছেন।

বাংলাদেশে কিভাবে ই-কমার্স ও এফ কমার্স  বিজনেস নিয়ে  বিস্তারিত

পোস্ট সুচিপত্রঃ 

বাংলাদেশে এখন জনসংখ্যা হচ্ছে ১৭ কোটি তার মধ্য প্রায় সাড়ে সাত কোটি মানুষ হচ্ছে ইন্টারনেট ইউজার। এবং তার মধ্যে ৪,কোটি ৫০,০০০ হাজার  মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ইউজার ও তার মধ্য শুধু ১ থেকে ১,৫ কোটি বা ২ কোটি মানুষ ই কমার্স বা এফ কমার্স থেকে কেনাকাটা করে।

বাংলাদেশে কিভাবে? ই-কমার্স ও এফ কমার্স  বিজনেস নিয়ে  বিস্তারিত

বাংলাদেশে কিভাবে ই-কমার্স ও এফ কমার্স  বিজনেস নিয়ে  বিস্তারিত

এখন কতটুকু মানুষ ই-কমার্স বা এফ কমার্সের সামনে আসতেছে কেনাকাটা করার জন্য। এই বিশাল একটি মার্কেট এই মার্কেটটি সামনে কত বড় হচ্ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকার মার্কেট ২০২৬ সালে ১,৫০,০০০ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকার মার্কেট হবে।

বাংলাদেশে কিভাবে ই-কমার্স ও এফ কমার্স  বিজনেস নিয়ে  বিস্তারিত

এখন যারা শুরু করবে তারপরও গতিতে কতটুকু বেনিফিট হবে। যারা গার্মেন্টস ব্যবসায়ী 1980 সালে বা ১৯৯০ সালের আগে শুরু করে ছিল তাদের এখন গার্মেন্টসের কি অবস্থা। এবং যে মানুষটি আজকে শুরু করতেছে তার কি অবস্থা।

বিগ এন্ড আর্লি অপরচুনিটি বাংলাদেশে কিভাবে? ই-কমার্স ও এফ কমার্স  বিজনেস নিয়ে  বিস্তারিত

১। বিগ এন্ড আর্লি অপরচুনিটিঃ ই-কমার্স বিজনেস এটি অনেক আর্লি। এ অবস্থায় যারা শুরু করতেছে এবং অনেক বিগ অপরচুনিটি। ইন্টারনেট ইউজার বন্ধ হবে না ইন্টারনেট ইউজার পারবে এবং অবশ্যই মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ইউজ করবে। মানুষ অনলাইন থেকে কেনাকাটা করবেই এটি আর কমবে না।

আরও পরুনঃ ব্যাক লিঙ্ক কি? ব্যাক লিঙ্ক(back link) সম্পর্কে বিস্তারিত

আপনি যদি এখন না শুরু করেন এই বিশাল মার্কেট থেকে আপনি অটোমেটিক ভাবে পিছিয়ে যাবেন। যারা অলরেডি করতেছে এবং যারা অলরেডি মার্কেটে আছে তারা কিন্তু একসময় গিয়ে বড় হবে। এবং ই-কমার্স ও এফ কমার্স বিজনেসের জন্য বিশেষভাবে সাহায্য করবে।

লো কষ্ট বাংলাদেশে কিভাবে? ই-কমার্স ও এফ কমার্স  বিজনেস নিয়ে  বিস্তারিত

২। লো কষ্টঃ আমরা জানি বিজনেস শুরু করতেই ভয় লাগে। এবং বিজনেস শুরু করতে অনেক কস্টিং ব্যাপার থাকে অনলাইন একটি বিজনেস শুরু করতে তাও লোকালই বাংলাদেশের মতো জায়গায় একদমই লোক কস্ট এ শুরু করা যায়। আপনিরা জানেন অ্যাড কস্ট একেবারেই কম যেখানে ১০০ জনের ভিজিটর বাইরের দেশে অর্থাৎ উন্নত দেশ গুলিতে আনতে আপনার ৫০ থেকে ৬০ ডলার খরচ হয়।

বাংলাদেশে কিভাবে? ই-কমার্স ও এফ কমার্স  বিজনেস নিয়ে  বিস্তারিত

এবং বাংলাদেশের  খরচ লাগবে ৫ থেকে ১০ ডলার বা তার থেকেও কম। আপনার ম্যানেজমেন্ট কস্ট অনেক কম স্টাডির cost বলতে আমরা বুঝি যে অনেকগুলো মানুষ নিয়োগ দিয়ে ও বড় একটি অফিস নিয়ে বা টিম বিল করে বিজনেস শুরু করতে হয় কিন্তু ই-কমার্স বা এফ কমার্স বিজনেসে লাগেনা।

আপনি ম্যানেজমেন্ট যত কম করে শুরু করতে পারেন কোন সমস্যা হবে না। স্টাডিং কোস্ট বলতে আমরা বুঝি যে অনেকগুলো প্রোডাক্ট লাগে বড় একটি দোকান নিতে হবে কিন্তু অফিস নিতে হবে প্রোডাক্ট স্টক করতে হবে। অনলাইন এবং লোকাল অনলাইন বিজনেসে এইগুলো কিছুই করতে হয় না।

স্টার্ট ফর হোম বাংলাদেশে কিভাবে? ই-কমার্স ও এফ কমার্স  বিজনেস নিয়ে  বিস্তারিত

৩। স্টার্ট ফর হোমঃ আপনি আপনার ঘর থেকে শুরু করতে পারবেন। শুধু ঘর নয় আপনি যেখানে আছেন বা যে অবস্থায় আছেন ওখান থেকে শুরু করতে পারবেন। আমরা বিজনেস শুরু করার আগে প্রথমে চিন্তা করি যে একটি একটি শপিং বা একটি অফিস ও একটি সব নিতে হবে।

বাংলাদেশে কিভাবে? ই-কমার্স ও এফ কমার্স  বিজনেস নিয়ে  বিস্তারিত

এইখানে একটি হিউজ পোস্টিং থাকে প্রথমে অফিস ভাড়া নিতে হবে ডেকোরেশন করতে হয় প্রোডাক্ট আর্নিং করতে হয়। একটি বিজনেসের কথা শুনলে মানুষের মাথায় বিশাল একটি চাপ চলে আসে। বা অনলাইন বিজনেসে আপনি আপনার ঘরে বা যেখানে আছেন ওখান থেকে করা সম্ভব।

আপনাকে একটি ইন্টারনেট ইউজার করতে হবে মানুষ শুধুমাত্র দেখবে আপনার প্রোডাক্ট আপনার কোয়ালিটি এবং আপনার কনটেন্ট আপনার অফিস কোন কিছুই দেখতে যাবে না। যদি আপনি এই জিনিস গুলি ক্লিয়ার করতে পারেন আপনার ক্যারিয়ার আপনার নেক্সট বিজনেস।

বাংলাদেশের লো কম্পিটিশন বাংলাদেশে কিভাবে? ই-কমার্স ও এফ কমার্স  বিজনেস নিয়ে  বিস্তারিত

৪। বাংলাদেশের লো কম্পিটিশনঃ বাংলাদেশের আপনি যদি চিন্তা করেন ১ থেকে দেড় কোটি ইউজার আছে যারা বর্তমানে ই-কমার্স বা এ-কমার্স থেকে প্রোডাক্ট কিনতেছে। কিন্তু সেই তুলনায় এই কমার্স বা এফ কমার্স বিজনেস কয়টি আছে। সর্বোচ্চ ৫০০০ বা ১০,০০০ রিয়াল বিজনেস যেখান থেকে মানুষ কিনছে।

এবং উদ্যোক্তা ১০ হাজার পাওয়া কঠিন। এতগুলো মানুষের জন্য মাত্র কয়েকটি সাইট আছে। বিশাল একটি মার্কেটের জন্য বাংলাদেশের লোক কম্পিটিশন একেবারে কম। বাংলাদেশে ই-কমার্স ও এফ কমার্স বিজনেস করার জন্য একটি বিশাল মাধ্যম।

লো বাজেট লো ইনভেস্টমেন্ট বাংলাদেশে কিভাবে? ই-কমার্স ও এফ কমার্স  বিজনেস নিয়ে  বিস্তারিত

৫। লো বাজেট লো ইনভেস্টমেন্টঃ বিজনেস অফ বিজনেসের কথা শুনলে মানুষের মাথায় চিন্তা আসে কত টাকা ইনভেস্টমেন্ট লাগবে। এবং কত বাজেট লাগবে অনলাইন ই কমার্স ও এফ কমার্স বিজনেসে বিশেষ করে লোকালি যারা বাংলাদেশের বিজনেস করেন আমি মনে করি তাদের তেমন বড় বাজেটের প্রয়োজন নেই।আপনি একাই শুরু করতে পারবেন আপনার ঘর থেকে বা জায়গা থেকে একদম কম বাজেটে বিজনেস করা সম্ভব।

বাংলাদেশের বিজনেস বাংলাদেশে কিভাবে? ই-কমার্স ও এফ কমার্স  বিজনেস নিয়ে  বিস্তারিত

৬। বাংলাদেশের বিজনেসঃ বাংলাদেশের বিজনেস বেশি সমস্যা আর যত সমস্যা তত বেশি অপরচুনিটি ততো মার্কেট তত সলুশন ও প্রোডাক্ট। সাপোজ আপনি যদি ইউএসএ মার্কেটে বিজনেস করেন ওখানে তত বেশি কম্পিটিশন বেশি উন্নত সমস্যা কম মানুষের।

বাংলাদেশে একটি উন্নয়নশীল দেশ এই দেশে সমস্যা অনেক বেশি। অনলাইন ই-কমার্স ও এফ কমার্স বিজনেস আলাদা ভাবে মানুষকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে যে দেশ যত বেশি সমস্যা সে দেশে এই কমার্স বিজনেস করা সম্ভব।

বিজনেস শপ বাংলাদেশে কিভাবে? ই-কমার্স ও এফ কমার্স  বিজনেস নিয়ে  বিস্তারিত

৭। বিজনেস শপঃ বিজনেসের প্রথম যে সমস্যা মানুষের মাথায় আসে সেটি হল অনলাইন অনেক পরিমাণ টেকনোলজি দরকার। ই-কমার্স বিজনেস ১০ থেকে ১৫% টেকনোলজি লাগে। অর্থাৎ টেকনিক্যাল নলেজ লাগে বাকি পুরোটা বিজনেস এর উপর নির্ভর করে। শুরু করে সিস্টেম ডেভেলপ করতে কাজে লাগে।

বাংলাদেশে কিভাবে? ই-কমার্স ও এফ কমার্স  বিজনেস নিয়ে  বিস্তারিত

আপনাকে জানতে হবে বিজনেসটি কিভাবে কাজ করে মানুষ কিভাবে পাবেন। কাদের কাছে সেল করবেন এবং কোথায় সেল করবেন। দ্বিতীয় সমস্যা হল অনলাইন থেকে মানুষ কেনাকাটা করে। এই যে এতগুলো কুরিয়ার হাজার হাজার ডেলিভারি প্রতিদিন যাচ্ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা প্রতি বছরে ট্রানজেকশন হচ্ছে ই-কমার্স এবং এফ-কমার্স থেকে।

বাংলাদেশে কিভাবে? ই-কমার্স ও এফ কমার্স  বিজনেস নিয়ে  বিস্তারিত

কেউ না কেউ প্রোডাক্ট কিনতেছে শুধু এক থেকে দেড় ২ কোটি মানুষ অনলাইন থেকে কেনাকাটা করতেছে প্রতিনিয়ত এবং প্রতি বছরে। অনলাইন ই-কমার্স ও এফ কমার্স বিজনেস শুধু এলাকা মহল্লায় নয় সারা বাংলাদেশে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ই-কমার্স ও এফ কমার্স বিজনেস করা সম্ভব।

শেষ কথা বিজনেস করতে মানুষের তৃতীয় যে চিন্তাটি মাথায় আসে সেটি হল বিজনেস শুরু করব কিভাবে। একটি সঠিক গাইডলাইন ফলো করতে হবে। আশা করি  ভালো লাগবে আজ তাহলে এ পর্যন্তই আরো জানার থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন সবাইকে ধন্যবাদ।



 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

rhblogger নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url