আযানের সময় ভুলেও এই পাঁচটি কাজ কখনো করা যাবে না
আযানের সময় ভুলেও যেসব কাজ করা যাবে না কারণ নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলে গিয়েছেন। এই আযানের সময় আযানের প্রতি কালামে আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের জন্য এক লক্ষ নেকি দান করেন। এবং আযানের কালাম সংখ্যা ১৫টি অর্থাৎ ১৫ লক্ষ নেকি দান করেন।
পোস্ট সুচিপত্রঃ
- সর্বপ্রথম আযানের সময় যে কাজটি করা যাবে না
- আযানের সময় কাউকে সালাম দেওয়া যাবে না
- যদি কেউ আযানের সময় বা তার আগে কোরআন তেলাওয়াত করে
- আযানের সঠিক আদব কায়দা করা
- আযানের সময় উত্তর দিতে থাকা
তাই যদি আযানের সময় জেনে বা না জেনে যেভাবেই হোক এই কাজগুলি করতে থাকেন তাহলে আপনাদের জীবনে নেমে আসতে পারে বড় ধরনের কোন প্রতিবন্ধকতা।হতে পারে সেটি আপনার বা আপনাদের পরিবারের জটিল ও কঠিন রোগ।
আযানের সময় ভুলেও এই পাঁচটি কাজ কখনো করা যাবে না
হতে পারে সেটি আপনার বা আপনাদের পরিবারের জটিল ও কঠিন রোগ। বা ব্যবসায়ের ভাই রোজগারের বরকত ময় এমন কি এছাড়া আরও ঘটে যেতে পারে নানান ধরনের বিপদ। কি সেই কাজগুলো আযানের সময় আমাদের করতে নিষেধ করা হয়েছে।
এবং আযানের সময় ঠিক কি করতে হবে তাও বলা আছে কোরআন হাদিসের ভেতরে সেটি জানতে হলে কোরআন হাদিস পড়তে হবে।আপনারা জানেন দ্বীন ইসলামের পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের আহ্বান বাণী হলো এই আযান।
আযানের সময় ভুলেও এই পাঁচটি কাজ কখনো করা যাবে না
যুগের পর যুগ ধরে চলে আসছে কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না যে, আযানের সময় কি করতে হয় এবং কি কাজ করতে হয় না। চলুন আমরা জেনে আসি আযানের সময় কোন কোন কাজটি করা নিষেধ।
সর্বপ্রথম আযানের সময় যে কাজটি করা যাবে না
১। সর্বপ্রথম আযানের সময় যে কাজটি করা যাবে নাঃ সর্বপ্রথম আযানের সময় যে কাজটি করা যাবে না আপনি যতই ইম্পরট্যান্ট কাজ বা আলাপের মধ্যে থাকেন না কেন। যখন আপনার এলাকার মসজিদের মাইকে আযানের ধবনি উচ্চারিত হবে তখনই আপনাকে অবশ্যই চুপ করে থাকতে হবে।
আরওপরুনঃ ইসলামের মূল স্তম্ভ ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনাবলী নিয়ে বিস্তারিত
এবং সেই আযানের ধবনি শুনতে হবে ও আযানের উত্তর দিতে হবে। কারণ ওই ইম্পোর্টেন্ট কিছু কথার মাধ্যমে আপনি দুনিয়ার কিছু সুখ পাবেন তবে দুনিয়ার জীবন শেষ নয়। আযান সোনার মাধ্যমে আপনার চোখ আসবে পরকালের জীবনেও।
আযানের সময় কাউকে সালাম দেওয়া যাবে না
২। আযানের সময় কাউকে সালাম দেওয়া যাবে নাঃ আযানের সময় কাউকে সালাম দেওয়া নিষেধ বা উত্তর না দেওয়া। যেখানে আযানের সময় নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কথা বলতে নিষেধ করেছেন। সেখানে তিনি সালাম দেওয়ার কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি। আযানটিকে শোনার জন্য বলা হয়েছে এবং উত্তর দিতে বলা হয়েছে।
যদি কেউ আযানের সময় বা তার আগে কোরআন তেলাওয়াত করে
৩। যদি কেউ আযানের সময় বা তার আগে কোরআন তেলাওয়াত করেঃ যদি কেউ আযানের সময় কোরআন তেলাওয়াত করে সে সময় আযানের দখনি ভেসে আসে তবে তাকে তাৎক্ষণিক কোরআন পড়া বন্ধ করে আযানের ধবনি শুনতে হবে এবং উত্তর দিতে হবে।
আযানের সঠিক আদব কায়দা করা
আযানের সময় ভুলেও এই পাঁচটি কাজ কখনো করা যাবে না
এবং মোয়াজ্জেম সাহেব যখন আযানের ধবনী হাইয়া আলাল সালা বলেন তখন লা
হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ পাঠ করতে হয় এটি হচ্ছে আযানের উত্তর এভাবে
দিতে হয়। ও মোয়াজ্জেম সাহেব যখন খাইয়া আলাস সালা বলেন তখনও লা হাওলা
ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ বলতে হয় এভাবে আযানের উত্তর দিতে হয়।
আযানের সময় ভুলেও এই পাঁচটি কাজ কখনো করা যাবে না
আযানের উত্তর দেওয়া সেটি হল সুন্নত ও মুস্তাহাব ভালো কিছু আযানের সময় কথাবার্তা বলা নিষেধ। আযান চলাকালীন সময়ে অনেক মানুষ আছে কথাবার্তা বলে ও কাজকর্ম করে থাকে ওই সময় কাজ করা কথাবার্তা বলা নিষেধ
আযানের সময় উত্তর দিতে থাকা
৫।আযানের সময় উত্তর দিতে থাকাঃ আযানের সময় উত্তর দিয়ে প্রত্যেকটি মুসলিমের মসজিদের উদ্দেশ্য রওয়ানা দেওয়া। আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে বোঝার তৌফিক দান করুন আমীন।
শেষ কথা, এই কনটেন্টটি পড়ার আগে আমি আপনাদের কাছে ছোট একটি প্রশ্ন করতে চাই যে।
আপনার এলাকায় বা মহল্লায় ও শহর অঞ্চলে যখন আযানের ধবনি চারিদিকে মেতে ওঠে তখন
আপনাদের মনের মধ্য কেমন অনুভূতি হয়।
যদি এই ধবনি শুনে আপনার মনের মধ্যে অনুভব হয় তাহলে আযানের ধবনি শুনে আপনার মনের মত অনুভব হয় তাহলে অবশ্যই কমেন্টে আলহামদুলিল্লাহ লিখে জানাবেন। এবং এই কনটেন্ট টি মুসলিম ভাইদের শেয়ার করার মাধ্যমে ছড়িয়ে দিন। যারা আযানের সময় জেনে ও না জেনে এ কাজগুলো করে থাকে,এবং পাপের অংশীদার হয়। আজ তাহলে এ পর্যন্তই সবাইকে ধন্যবাদ।
rhblogger নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url