ইসলামের মূল স্তম্ভ ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনাবলী নিয়ে বিস্তারিত
ইসলাম একটি একেশ্বরবাদী ধর্ম, যার মূল শিখা ও শিক্ষা মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা প্রদত্ত এবং এর জীবনধারা শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনুসৃত। মানব সত্তার আবির্ভাব থেকে শুরু করে যুগে যুগে অসংখ্য নবী ও রাসূল আল্লাহর পক্ষ থেকে পৃথিবীতে এসেছেন। সাধারণ মানুষকে আল্লাহর পথে আহবান করা।
পোস্ট সূচীপত্রঃ
- লাইলাতুল মি,রাজ
- ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ
- লাইলাতুল বারাআত
- ঈমান
- নামায
- রোজা
- হজ্ব
- যাকাত
- ফাতেহা - ই- ইয়াজদাহম
- লাইলাতুল কদর
- ঈদে মিলাদুন্নবী ( সাঃ)
- আশুরা
যারা পৃথিবীতে পথভ্রষ্ট হয়ে নিজের ও অন্যদের জন্য ক্ষতি বয়ে আনতে পারে তাদেরকে যেভাবে জীবন যাপন করলে মন রাব্বুল আলামিন খুশি হবেন সেই পথ দেখানো এবং যারা আগে থেকেই সঠিক পথে আছেন তাদের জন্য পরকালে পুরস্কৃত হবার সুসংবাদ দিয়াই ছিল নবীর আসল প্রধান কাজ।
ইসলামের মূল স্তম্ভ ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনাবলী নিয়ে বিস্তারিত
নবুয়াত বা রিসালাতের এই ধারা আদম ( আঃ) সালাম থেকে শুরু হয়ে শেষ হয়েছে রাসূলে আকরাম সাইওদুনা রাহমাতুল্লিল আলামীন খাতামুন হাবিবুল্লাহ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর রিসালাত দ্বারা। প্রত্যেক নবী রাসূলগণের জীবনে অনেক তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা ঘটে থাকে। এই সকল ঘটনাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে ধর্মের ভিত্তি ও সংস্কৃতি।
ঠিক তেমনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনে রয়েছে অগণিত ঘটনা। সেই ঘটনাকে ঘিরেই স্থাপিত হয়েছে ইসলাম ধর্মের ভিত্তি ও সংস্কৃতি। এবং ঐতিহাসিক সেসব ঘটনাবলী কে স্মরণ করে বিভিন্ন প্রার্থনা উৎসব পালন করা হয়। ইসলামের বিষয়বস্তু মূল স্তম্ভ ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনাবলী এর ওপর আলোকপাত করেছে।
লাইলাতুল মি,রাজ
লাইলাতুল মি,রাজঃ লাইলাতুল মি,রাজ রজব মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাত অর্থাৎ চাঁদের ২৭ তারিখের রাতে আল্লাহু সুবানাল্লাহু ওয়া তা-আলা তার কুদরতি ক্ষমতায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আরশে আজিমে নিয়ে যান এবং দিদার বা সাক্ষাৎ করেন। এই দিদার কে মিরাজ বলা হয়। এই দিদার যাত্রা মধ্যরাত বা শেষ রাতের দিকে অনুষ্ঠিত হওয়ায় এটি কে আল-ইসরা ওয়াল মিরাজ ও বলা হয়ে থাকে।
আরওপরুনঃআযানের সময় ভুলেও এই পাঁচটি কাজ কখনো করা যাবে না
লাইলাতুল মিরাজের প্রথম অংশে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা শরীফ থেকে মসজিদুল আকসাতে ভ্রমণ করেন। এবং এ ব্যাপারটি আল্লাহতালা পবিত্র কোরআন শরীফে সূরা আল ইসরা এবং সূরা নাজম এ উল্লেখ করেন।
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভঃ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ "কালেমা, নামায, রোজা, হজ্ব, এবং যাকাত" এই পাঁচটি ইবাদতকে ইসলামের স্তম্ভ বলা হয়। এই পাঁচটি ইবাদত পালন করা ইসলাম ধর্মে আবশ্যক। যারা এই ইবাদত সমূহ এক নিষ্ঠতার সাথে পালন করেন তাদের মুসলমান বলা হয়।
কোন ব্যক্তি যখন মহান আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করার জন্য এই ইবাদত সমূহ তথা কালেমার জিকির করে, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, রমজান মাস জুড়ে রোজা রাখে, সামর্থ্য থাকলে হজ করে, এবং সঠিক পরিমাণ যাকাত প্রদান করে, তখন সেই ব্যক্তি ইসলামের রীতি অনুযায়ী একজন প্রকৃত ঈমানদার ব্যক্তি হিসেবে গণ্য হয়।
লাইলাতুল বারাআত
লাইলাতুল বারাআতঃ লাইলাতুল বারাআত ফরাসি "শর" মানে রাত এবং "বরাত" মানে মুক্তি। অর্থাৎ শবেবরাত মানে মুক্তির রাত। আরবীতে একে বলা হয় লাইলাতুল বারাআত"। হিজরী সাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে পালিত মুসলিমদের গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত হলো শবে বরাত। হাদিসে বর্ণিত আছে,
ইসলামের মূল স্তম্ভ ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনাবলী নিয়ে বিস্তারিত
এই রাতে মহান আল্লাহ তায়ালা দুনিয়ার আসমানে কুদরতি হালে অবতারণ করেন, এবং তার বান্দাদের ফরিয়াদ শোনেন। ক্ষমাপ্রার্থীদের ক্ষমা করে দেন, বিপদগ্রস্তদের বিপদ থেকে উদ্ধার করেন এবং সর্বোপরি মানুষের চাওয়া পাওয়া পূরণ করেন।
কালেমা পাঠ করে ঈমান
ঈমানঃ ঈমান আরবি শব্দ। এর অর্থ হল বিশ্বাস করা স্বীকৃতি দেয়া অবনত হওয়া ইত্যাদি। পবিত্র কুরআন ও হাদিসের আলোকে ছয়টি মৌলিক বিশ্বাসের সমষ্টি হল ঈমান। সেগুলো হল আল্লাহ ফেরেশতা গণ, নবী-রাসূলগণ, কোন আল্লাহর প্রেরিত কিতাব, পরকাল ও কিয়ামত এবং তাকদীর বা ভাগ্য।
ইসলামের মূল স্তম্ভ ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনাবলী নিয়ে বিস্তারিত
এই ছয়টি বিষয়ের প্রতি পূর্ণাঙ্গভাবে বিশ্বাস স্থাপন করাই হলো ঈমান। একজন মুসলিমের জীবনে ঈমান সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ, কারণ ঈমানহীন আমল মূল্যহীন বা নিষ্ফল।
নামায
নামাযঃ নামায আরবি শব্দ "সালাত" এর ফরাসি রোগ হল নামায। ইসলামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ বা সালাত আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ। পবিত্র কোরআন ও হাদিস জুড়ে বহুবার নামাজের আবশ্যিকতা, গুরুত্ব ও ফজিলত বর্ণিত রয়েছে।
ইসলামের মূল স্তম্ভ ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনাবলী নিয়ে বিস্তারিত
উল্লেখ্য ৬১৯ খ্রিস্টাব্দের ২৭ শে রজক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মিরাজ থেকে আসার সময় মুসলিম উম্মাহর জন্য মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে নামাজ নিয়ে আসেন।
রোজা
রোজাঃ রোজা ইসলামের মূল স্তম্ভের একটি হলো রোজা। আরবি শব্দ শাওম বলতে রোজা বোঝায় যার অর্থ সংযম। সূর্যোদয় থেকে সূর্য অস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার পাপাচার কামাচার এবং ভোগ-বিলাস থেকে বিরত থাকাকে রোজা বা সিয়াম সাধনা বলা হয়।
ইসলামের মূল স্তম্ভ ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনাবলী নিয়ে বিস্তারিত
প্রাপ্ত বয়স্ক প্রত্যেক মুসলমানের জন্য রমজান মাসের রোজা রাখা ফরজ। সূরা আল বাকারার.১৮৩ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা রোজা বা শাওন পালনের আদেশ দিয়েছেন।
হজ্ব
হজ্বঃ হজ ইসলামের প্রধান স্তম্ভ গুলোর মধ্য একটি। শারীরিকভাবে সামর্থ্যবান ও আর্থিকভাবে সচ্ছল প্রত্যেক মুসলিমের জীবনে কমপক্ষে একবার হজ করা ফরজ। আজ মুসলিম সম্প্রদায়ের সংহতি এবং সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণের একটি বাহ্যিক প্রকাশ। সারা বিশ্বের মুসলমানগন হজ পালনের ব্রত নিয়ে জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখ সৌদি আরবের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করেন,
ইসলামের মূল স্তম্ভ ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনাবলী নিয়ে বিস্তারিত
এবং বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা পালন করেন। কাবা শরীফ তাওয়াফ করা হজ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। হজের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস বর্ণিত আছে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্য হজ্ব পালনকারী গুনাহ মুক্ত মানবজাতকের ন্যায় নিষ্পাপ হয়ে যায় এবং কবুল হজ্বের পুরস্কার একমাত্র জান্নাত।
যাকাত
যাকাতঃ আরবি শব্দ "যাকাত" অর্থ-পবিত্রতা ও বৃদ্ধি। ইসলামের মূল পাঁচটি স্তম্ভের একটি হলো যাকাত। সাধারণত নির্ধারিত সীমার অধিক বা হিসাব পরিমাণ ৭.৫ ভরি স্বর্ণ ও ৫২.৫ তোলা রুপা বা সমপরিমাণ সম্পত্তি এক বছর স্থায়ী থাকলে তা বছর পূর্ণ হওয়ার পর সেই সম্পত্তির উপর যাকাত দেওয়া ফরজ।
ইসলামের মূল স্তম্ভ ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনাবলী নিয়ে বিস্তারিত
প্রত্যেক স্বাধীন প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিমের সম্পত্তি হিসাব পরিমাণ অতিক্রম করলে মোট সম্পত্তির ২.৫ শতাংশ বা ৪০ ভাগের এক ভাগ গরিব দুস্থদের মাঝে বা শরিয়াহ মোতাবেক নির্ধারিত খাত গুলোতে বিতরণ করাই হলো যাকাত।
ফাতেহা - ই- ইয়াজদাহম
ফাতেহা - ই- ইয়াজদাহমঃ ফাতেহা - ই- ইয়াজদাহম হচ্ছে বড়পীর গাউসুল আজম দস্তগীর শায়খ সুলতান সৈয়দ আব্দুল কাদের জিলানী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এর ওফাত দিবস। ১১ই রবিউস সানি দিবসটি পালিত হয়। তাকে সফল অলি আউলিয়াদের শিরোমনি হিসেবে মানা হয়।
ইসলামের মূল স্তম্ভ ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনাবলী নিয়ে বিস্তারিত
পিতার দিক থেকে তিনি হযরত ইমাম হাসান রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এর বংশধর। তাকে বিভিন্ন নামে সম্বোধন করা হয়ে থাকলেও বড়পীর নামে তিনি বিশেষভাবে পরিচিত। উপমহাদেশের ইসলাম ধর্ম প্রচার ও প্রসারে তার ভূমিকা আবিস্মরণীয়। হিজরি ৫৬১ সনের ১১ই রবিউল সানি এই মহান ব্যক্তিত্ব ইন্তেকাল করেন।
লাইলাতুল কদর
লাইলাতুল কদরঃ লাইলাতুল কদর মানে মহিমান্বিত রজনী। মহাগ্রন্থ আল কোরআন এই রাতে পৃথিবীতে প্রথম নাজিল হয়েছিল। আল্লাহ সুবহানাল্লাহ ওয়া তা'আলা লাইলাতুল কদরের বিশেষত্ব বর্ণনা করে বলেছেন, এই রাতের ইবাদত হাজার মাসের চেয়ে ও উত্তম।
ইসলামের মূল স্তম্ভ ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনাবলী নিয়ে বিস্তারিত
রাসূল এ আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজান মাসের শেষ ১০ দিনের বীজীর রথ গুলোতে শবে কদর সন্ধান করতে বলেছেন।এই পবিত্র রজনীতে আল্লাহ তার বান্দাদের গুনাহ মাফ করেন এবাদত কবুল করেন এবং ভাগ্য নির্ধারণ করেন।
ঈদে মিলাদুন্নবী ( সাঃ)
ঈদে মিলাদুন্নবী ( সাঃ) ঃ হিজরী সনের তৃতীয় মাস রবিউল আউয়াল এর বার তারিখ সমগ্র মুসলিম জাহান ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পালন করে। এ দিন আল্লাহু রব্বুল আলামিন মানব জাতির মুক্তির জন্য আল্লাহর রহমতে ধারক ও বাহক রাহমাতুল্লাহিল আলামিন, সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশেষ নবী।
ইসলামের মূল স্তম্ভ ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনাবলী নিয়ে বিস্তারিত
নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পৃথিবীতে প্রেরণ করেন। ৬৩ বছরের এক মহান আদর্শিক জীবন অতিবাহিত করে ৬৩২ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেন। বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় রাসুলে আকরাম হাবিবুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্মদিন উপলক্ষে ধর্মীয় ভাব গামভিমযে ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পালন করে থাকে।
আশুরা
আশুরাঃ আশুরা মুহররম হলো হিজরী বছরের প্রথম মাস। পবিত্র কোরআনের আল্লাহু রাব্বুল আলামিন এই মাসকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন। আরবি শব্দ "আশারা" থেকে "আশুরা" শব্দটি এসেছে। যার অর্থ ১০ম মুহররম মাসের ১০ তারিখ আশুরা পালন করা হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উম্মতদের মুহররম মাসের ৯\১০ অথবা ১০\১১ তারিখ রোজা রাখার উপদেশ দিয়েছেন।
ইসলামের মূল স্তম্ভ ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনাবলী নিয়ে বিস্তারিত
হিজরী ৬১ সনের ১০ই মহররম কারবালা প্রান্তরে হযরত ইমাম হোসাইন রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু সহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পরিবারের ৭২ জন সদস্য শাহাদাত বরণ করেন। অন্যায়ের সাথে সমঝোতা না করার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে এই দিনটি বিশেষভাবে তাৎপর্যমণ্ডিত।
শেষ কথা, মানব সত্তার আবির্ভাব থেকে শুরু করে যুগে যুগে অসংখ্য নবী ও রাসূল আল্লাহর পক্ষ থেকে পৃথিবীতে এসেছেন। সাধারণ মানুষকে আল্লাহর পথে আহবান করা। ইসলামের মূল স্তম্ভ ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনাবলী নিয়ে এসব বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। আজ তাহলে এ পর্যন্তই আরো কিছু জানার থাকলে তা কমেন্ট করে জানাবেন সবাইকে ধন্যবাদ
rhblogger নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url