কাঁচা কলার থোড় ও মোচা খাওয়ার উপকারিতা

 

বাংলাদেশের বারোমাসি সবজি গুলোর মধ্যে কাঁচা কলার থোড় বা মোচা হল জাতীয় সবজি । এই কলা গাছ আমাদের দেশের সব অঞ্চলে পাওয়া যায় । এবং এর ফলনও সহজেই হয় । তেমন কোনো যত্নের প্রয়োজন হয় না । একটু থাকার জায়গা পেলেই সে নিজে নিজের খেয়াল রাখতে পারে । আমরা যারা গ্রামে বা শহরে বাস করি সকলেই কাচা কলার থোড় বা মোচা দেখতে পাই ।


কাঁচা কলার থোড় ও মোচা খাওয়ার উপকারিতা


পোস্ট সুচিপত্র: 


গাছের থাকা কলার কাদের একে বারে শেষ প্রান্তে থাকা 


গাছের থাকা কলার কাদের একে বারে শেষ প্রান্তে থাকা । না ফোঁটা ফুলের কুড়ির নাম হল মোচা, মোচার অগ্রভাগ সূচালো । মোচার বাইরে থেকে পরপর খোলার দ্বারা ঢাকা থাকে । এই খোলাটি দেখতে গারো লাল । কাঁচা কলার মোচা ও সবজিতে পুষ্টির উপাদান বেশি কাঁচা কলার মোচার সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে একে সারা বছরে বাজারে পাওয়া যায় । কাঁচা কলার পুষ্টি গুণ অনেক বেশি কাঁচা কলার মোচা দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি খেতেও সুস্বাদু । 


কাঁচা কলার থোড় ও মোচা খাওয়ার উপকারিতা

কাঁচা কলার থোর বা মোচা পুষ্টিতে ও অতুলনীয়

কাঁচা কলার থোর বা মোচা পুষ্টিতে ও অতুলনীয় । কাঁচা কলার থোর বা মোচা প্রতি ১০০ গ্রাম , রয়েছে প্রোটিন ১.৭ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩২ মিলিগ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৫.১ গ্রাম, ফসফরাস ৪২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ, ২৭ আই ইউ, লৌহ ১.৬ মিলিগ্রাম, ফ্যাট ০.৭ গ্রাম, পটাশিয়াম ১৮৫ মিলিগ্রাম, রিভোফ্লাইবিন দশমিক ০২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৪২০ মিলিগ্রাম, আস ১.৩ মিলিগ্রাম, ০.৫ মিলিগ্রাম। 


কাঁচা কলার থোড় ও মোচা খাওয়ার উপকারিতা

কাঁচা কলার থোর ও মোচার উপকারিতা

কাঁচা কলার থোর ও মোচার উপকারিতা । অনেক মানুষ মনে করেন যে কাঁচা কলা গাছের শিকড়  সঙ্গে ঘি ও চিনি মিশিয়ে খেলে প্রসাবের অসুখ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। পেটের বিভিন্ন সমস্যা হলে পাসাপাসি  রক্ত আমাশা হলে কাঁচা কলার সিদ্ধ করে টাটকা টক দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে সমস্যার সমাধান পাওয়া যায় । 

কাঁচা কলা মেয়েদের প্রদর রোগের মহা ঔষধ

কাঁচা কলা মেয়েদের প্রদর রোগের মহা ঔষধ । একেবারে কচি কলাপাতা মিহি করে বেটে দুধ মিশিয়ে ঘন ক্ষীরের মতো করে খাওয়ালে মেয়েদের প্রদার রোগের উপকার হয় । কলা গাছের শুকনো শিকড় গুড়ো করে অল্প পরিমাণে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে পিত্ত রোগ ভালো হয়ে যায় । কাঁচা কলা রক্তস্বল্পতায় একটি কার্যকরী মহা ঔষধ। এবং যৌন রোগের ওষুধ কাঁচা কলা শুকিয়ে গুরু করে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে যৌনব্যাধির রোগ ভালো হয় ।

কাঁচা কলা প্রসবের সমস্যা ও সেদপ্রদর রোগের মহা ঔষধ । একটি কাঁচা কলা  চাক চাক করে কেটে প্রতি রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে ওই পানি পান করলে কঠিন আমাশয় রোগ ভালো হয়। । কাঁচা কলা শরীরের বল শক্তি বৃদ্ধিতে  সহযোগিতা করে। কাঁচা কলার মোচা আমাদের দেশে সারা বছরই সবজির দোকানে পাওয়া যায় । গ্রামের মানুষ অবহেলা করে কলার মোচা খেতে ও অপছন্দ করে দামে সস্তা বলে।   

কাঁচা কলার মোচার পুষ্টি ও প্রধান

কাঁচা কলার মোচার পুষ্টি ও প্রধান । কাঁচা কলার মোচা প্রতি ১০০ গ্রামে রয়েছে ১.৪ গ্রাম প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ১০ মিলিগ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ১৪.০ গ্রাম, ফসফরাস ২৯ মিলিগ্রাম,  ভিটামিন এ ৩০ আইইউ,  লোহো ৬. ২৭ মিলিগ্রাম। এক ০.২ মিলিগ্রাম ৮ ০.৭ মিলিগ্রাম , পটাশিয়াম ১৯৩ মিলিগ্রাম, অক্সালিক অ্যাসিড ৪৮০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, 24 মিলিগ্রাম,  দশমিক ০২ মিলিগ্রাম,  ০.৫ মিলিগ্রাম,  ইত্যাদি কাঁচা কলার শেখর এর রসের সঙ্গে ঘিও চিনি মিশিয়ে খেলে প্রসাবে সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

এবং পেটের অসুখে যাদের আমাশয় ও রক্ত  আমাশয় আছে কাঁচা কলা সিদ্ধ করে টাটকা টক দই মিশিয়ে খেতে হবে ।  কাঁচা কলার মোচা পুষ্টি গুণ অনেক বেশি তাই আজ থেকেই কলার মোচা নিজে খান এবং পরিবারের সবাইকে কলার মোচা খেতে উৎসাহিত করুন । 

কাঁচা কলার মোচা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী

কাঁচা কলার মোচা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। শুধু কাঁচা কলার মোচাই নয় কাঁচা কলার মোচার পাশাপাশি এবং কাচা কলা স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী । কাঁচা কলা ও কলার মোচাই রয়েছে মিথানল এক্সটেন্ট শক্তিশালী আন্টি অক্সিডেন্ট । এতে ভিটামিন বি ৬ সি ও খাদ্য আস ও রয়েছে । এছাড়া কাচা কলার মোচাই ভিটামিন ই ও প্রোটিন রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী । 

কলার মোচা খাওয়ার উপকারিতা

কলার মোচা খাওয়ার উপকারিতা । কলার মোচা বা কলার ফুল রঞ্জকালীন ব্যথা কমায় এটি প্রোজেস্টেরন উৎপাদন বৃদ্ধি করে রক্তস্বল্পতা কমায় । পেটের বিভিন্ন সমস্যা যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য পেট ফোলা ভাব বিশেষ করে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ফ্রিডম নিয়ন্ত্রণ রাখে । মনোভাব ভালো রাখতে কলার মোচাতে আছে ম্যাগনেসিয়াম ,উদ্যোগ ও হতাশা কমায় মন মেজাজ ভালো রাখে । 

কাঁচা কলার মোচা ডায়াবেটিসের জন্য বিশেষ উপযোগী

কাঁচা কলার মোচা ডায়াবেটিসের জন্য বিশেষ উপযোগী । কাঁচা কলার মোচায় ফেলিক অ্যাসিড এবং অন্যান্য বায়োএকটিভ উপাদান রক্তের সকালের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে । এবং কাঁচা কলার মোচা বুকের দুধ তৈরিতে বিশেষ কাজ করে।  কাচা কলার মোছায় রয়েছে প্রাকৃতিক ক্ল্যাকটাগাগ, এই বিশেষ উপাদানটি স্তন্যদানকারী মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে । 

পরিশেষে বলা যায় যে, অনেকেই রক্ত সফলতার সমস্যায় ভুগেন , এই রক্ত স্বল্পতার সমস্যা দূর করতে কলার মোচা খুবই কার্যকরী, কারণ এতে আছে আয়রন । আর এই  সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। কলার মোচায় আছে পটাশিয়াম আর এই পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। তাই যেসব ব্যক্তিরা উচ্চ রক্তচাপের মত সমস্যায় ভুগছেন খাদ্য তালিকায় কলার মোচা যোগ করুন । 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

rhblogger নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url