মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

মিষ্টি কুমড়ার আকার পেট মোটা গোল । এবং পাকা অবস্থায় এর ভিতরে অংশ উজ্জ্বল কমলা বর্ণের হয়ে থাকে । এতে ভিটামিন এ , এবং বিটা ক্যারোটিন আছে এটি প্রধানত তরকারি রান্না করে খাওয়া হয় ও কাঁচা  খাওয়া যায় । এটি খেতে একটু মিষ্টি সুস্বাদু । এটি একপ্রকার জাতীয় সবজি মিষ্টি কুমড়া নামে  পরিচিত ।


মিষ্টিকুমড়ার উপকারিতা ও অপকারিতা



পোস্ট সুচিপত্রঃ

মিষ্টি কুমড়ার পুষ্টিগুণ 

মিষ্টি কুমড়ার পুষ্টিগুণ । মিষ্টি কুমড়া সবজি হিসেবে এর অবদান অনেক বেশি । মিষ্টি কুমড়া খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিগুণে ভরপুর । হালকা মিষ্টি ছাদের এই সবজিটি পাওয়া যায় সারা বছর জুড়ে । মিষ্টি কুমড়া আমাদের সকলের অতি পরিচিত বারোমাসি সবজি । মিষ্টি কুমড়ায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ বিটা ক্যারোটিন ভিটামিন সি , কমপ্লেক্স এবং ভিটামিন ই , ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম আয়রন ম্যাঙ্গানিজ জিম কপার ফসফরাস কেরোটি । নিয়মিত মিষ্টি কুমড়া খেলে আমাদের বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব ।  


মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

রোদ প্রতিরোধে মিষ্টি কুমড়া

রোদ প্রতিরোধে মিষ্টি কুমড়া । আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মিষ্টি কুমড়া একটি অত্যন্ত উপকারী সবজি । প্রতিদিন মিষ্টি কুমড়া খেলে রোগ ব্যাধির সংক্রমণ কমে যায়। মিষ্টি কুমড়ায় বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন ই , মানব দেহকে ক্যান্সার ও আলজেমার রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয় ক্ষমতাবৃদ্ধির পাশাপাশি সর্দি কাশি ঠান্ডা লাগা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে । 

হাই প্রেসার কমাতে  মিষ্টি কুমড়ার অনেক গুণ

হাই প্রেসার কমাতে  মিষ্টি কুমড়ার অনেক গুণ । যারা হাই প্রেসার জনিত সমস্যায় ভোগেন তারা নিয়মিত মিনিষ্ট কুমড়া খেতে পারেন । কারণ মিষ্টি কুমড়ায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম আছে । যা আমাদের শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে । তাছাড়া মিষ্টি কুমড়ায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে । হাই পেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে থাকে ।  

মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা ও অপকারিতা


চোখ ভালো রাখে মিষ্টি কুমড়া 

চোখ ভালো রাখে মিষ্টি কুমড়া । মিষ্টি কুমড়াতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বিটা ক্যারোটিন রয়েছে তাই এই সবজিটি চোখের জন্য খুবই ভালো । আমাদের চোখের রেটিনার বিভিন্ন অসুখ প্রতিরোধে মিষ্টি কুমড়া খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । চোখের ছানি পড়া রোধসহ যোগের রেটিনা কোষ রক্ষা করে । এটা শুধু চোখের অসুখ নয় ।, অন্যান্য রোগেও মিষ্টি কুমড়া উপকারী । তাই চোখকে সুস্থ ও সচল রাখতে আমাদের খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন মিষ্টি কুমড়া যোগ করাউচিত ।   

মিষ্টি কুমড়া ত্বক উজ্জ্বল করে

মিষ্টি কুমড়া ত্বক উজ্জ্বল করতেও সাহায্য করে । মিষ্টি কুমড়ায় ভিটামিন এওসি চুল ও ত্বক ভালো রাখে । নিয়মিত মিষ্টি কুমড়া খেলে উজ্জ্বল চুল ও চকচকে ত্বকের জন্য উপকার । তাছাড়া বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করতেও মিষ্টি কুমড়া সাহায্য করে এতে প্রচুর পরিমাণে  রয়েছে জিংক । 

মিষ্টি কুমড়া খাদ্য হজম করতে সাহায্য করে 

মিষ্টি কুমড়া খাদ্য হজম করতে সাহায্য করে । প্রচুর আস বা ফাইবার আছে যা সহজেই হজম হয় । মিষ্টি কুমড়া হজম শক্তি বৃদ্ধি পুষ্টি কাঠিন্য দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে । এবং ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ পরিপাক নালীর খাদ্য সঠিক উপায়ে সরবরাহ এই সবজির তুলনা করলে কম হবে । 

মিষ্টি কুমড়া ডায়াবেটিসে অনেক উপকারী

মিষ্টি কুমড়া ডায়াবেটিসে অনেক উপকারী । মিষ্টি কুমড়া শরীলের প্রতিনিয়ত ইনসুলিন সরবরাহ করে । এবং ক্ষতিকর অক্সি ডেটিভ চাপ কমাই । এছাড়া হজমে সাহায্য করে এমন প্রোটিনও সরবরাহ করে মিষ্টি কুমড়ার বিচি, ফলে রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে । 

মিষ্টি কুমড়া বয়সের ছাপ কমায়

মিষ্টি কুমড়া বয়সের ছাপ কমায় । মিষ্টি কুমড়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ জিংক ও আলফা হাইড্রো হাইড্রোক্সাইড । জিংক ইউনিটি সিস্টেম ভালো রাখে ও প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে । মিষ্টি কুমড়া এমন একটি সবজি যা রান্না করে ও কাচাও খাওয়া যায় । 

মিষ্টি কুমড়া চুল ভালো রাখে 

মিষ্টি কুমড়া চুল ভালো রাখে । মিষ্টি কুমড়াতে আছে  কিউ কুড়বিটিন , এমন এক অ্যামিনো এসিড যা চুলের বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে । এছাড়া ভিটামিন সি ও আছে মিষ্টি কুমড়োর বিচিতে , যা চুলের বৃদ্ধি বাড়াই 

মিষ্টি কুমড়া দাঁত ও হাড়ের ক্ষয় রোধ করে । মিষ্টি কুমড়ায় দাঁত ও হাড়ের ক্ষয় রোধ করে । এবং হার্টের রক্ত পাম করতে সাহায্য করে । এছাড়াও মিষ্টি কুমড়া ধাতুহার গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে । 

মিষ্টি কুমড়া খেলে ভালো ঘুম হয় 

মিষ্টি কুমড়া খেলে ভালো ঘুম হয় । মিষ্টি কুমড়ার বিচিতে টিপ টু ফ্যান নামে এনআইওএসিড থাকে যা রাতে আপনাকে ভালো ঘুম এনে দেবে । তাই একে প্রকৃত প্রদত্ত স্লিপিং পিল বলা হয়ে থাকে । এছাড়া মিষ্টি কুমড়ায় নানা উপাদান দেহের লিভার, কিডনি, হাটকে সুস্থ রাখে, এবং বাতের ব্যথাসহ দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার প্রমোশন ঘটায়।


মিষ্টি কুমড়ায় বিদ্যমান ফাইবার দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখে । এবং স্ট্রোক এর ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে মিষ্টি কুমড়া । মিষ্টি কুমড়া বীজ গর্ভবতী মেয়েদের রক্তস্বল্পতা রোধ করে  । আকাল প্রসবের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয় । তাই গর্ভবতী মায়েরা তাদের অনাগত সন্তানের সুস্বাস্থ্যের জন্য নির্দ্বিধায়ই মিষ্টি কুমড়া খেতে পারেন ।  

মিষ্টি কুমড়ার অপকারিতা 

মিষ্টি কুমড়ার অপকারিতা । মিষ্টি কুমড়া অনেকের বেশ পছন্দের খাবার । তাইতো প্রায় প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় স্থান পায় এই পুষ্টিকর সবজিটি । রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে মিষ্টি কুমড়ার জুড়ি নেই । তাই বলে প্রচুর পরিমাণে মিষ্টি কুমড়া খাওয়া শরীরের জন্য ভালো নয় এদের শরীরের অনেক সমস্যা হতে পারে । 

অতিরিক্ত মিষ্টি কুমড়া খেলে রক্তচাপ কমে যেতে পারে


অতিরিক্ত মিষ্টি কুমড়া খেলে রক্তচাপ কমে যেতে পারে । রক্তের সকল আর মাত্রা কমাতে যেমন মিষ্টি কুমার বিকল্প নেই, তেমনি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতেও এই সবজিটি খুবই কাজে লাগে । কিন্তু বেশি মাত্রায় খেলে রক্তচাপ অতিরিক্ত কমে যেতে পারে । 

অতিরিক্ত মিষ্টি কুমড়া খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে । মিষ্টি কুমড়া হজম করা একটু কঠিন । এর কিছু উপাদান পেটের গন্ডগোলের কারণ হয়েও দাঁড়াতে পারে । অতিরিক্ত কুমড়া খেলে পেট খারাপের সমস্যা হয়ে থাকে । 

অতিরিক্ত মিষ্টি কুমড়া খেলে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে

অতিরিক্ত মিষ্টি কুমড়া খেলে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে । রোজ ১০০ গ্রাম বা তার কম মিষ্টিকুমড়া খেলে সমস্যা হওয়ার কথা নয় । কিন্তু তার চেয়ে বেশি পরিমাণে মিষ্টি কুমড়া খেলে ওজন বাড়তে পারে । কারণ এতে অনেক  ক্যালরির পরিমাণ বেশি আছে । 

অতিরিক্ত মিষ্টি কুমড়া খেলে সর্করারমাত্রা কমে যেতে পারে

অতিরিক্ত মিষ্টি কুমড়া খেলে সর্করারমাত্রা কমে যেতে পারে । যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে, তারা মিষ্টি কুমড়া খেলে রক্তের সকরার মাত্রা কমে যেতে পারে । ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভোগা রোগিদের তাই মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার  চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরী । কিন্তু বেশি মাত্রায় খেলে রক্তের সোকরার হার কমে যেতে পারে । এবং শরীরের অন্য সমস্যা দেখা দিতে পারে ।

পরিশেষে বলা যায় রঙ্গিন সবজির মধ্য অন্যতম মিষ্টি কুমড়া । অনেকেই হয়তো জানেন না মিষ্টি কুমড়ার শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী । আমরা মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার অযোগ্য ভেবে ফেলে দেই । তবে পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ মিষ্টি কুমড়া শরীরের রোদ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর একমাত্র উৎস ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

rhblogger নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url