বিটরুট কেন খাবেন বেট রুটের যত উপকারিতা

। সুপার ফুড হিসাবে বিট রুট এইর মধ্যে গোটা বিশ্বে জন প্রিয়  হয়ে উঠেছে । এটি এমন একটি সবজি যা কোনো না কোনো উপায়ে শরীরের উপকার করে। বিট রুটে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ , ভিটামিন কে, । আইরন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, কপার ইত্যাদি।  

পোস্ট সূচীপত্র ঃ

প্রাচীনকাল থেকেই এটি নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা কমাতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নিয়মিত বিট জুস খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়।  

নিয়মিত বিট জুস খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায় 

নানা ধরনের অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে বিট  জুস বেশ উপকারী। পেতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার হৃদরোগ আর্থাইটিস চোখের সমস্যার সহ নানা ধরনের রোগ সারাতে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত পরিমাণে বীর জুস খেলে শরীরের টক্সিন দূর হয়। এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও এজুস বেশ উপকারী।  

ত্বকের যেকোনো ধরনের প্রদাহ সারাতে বিট জুসের তুলনা নেই বিটরুট কেন খাবেন

ত্বকের যেকোনো ধরনের প্রদাহ সারাতে বিট জুসের তুলনা নেই। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। সেইসঙ্গে চুলের বৃদ্ধি ও ঘটায়। 

প্রতি 100 গ্রাম বিটরুটে শতকরা ২৭ ভাগ ফলিক এসিড থাকে। এ কারণে গর্ভাবস্থায় এটি খেলে শিশুর জন্মকালীন , ক্রুটি হওয়ার সম্ভাবনা কমে । নিয়মিত বিট খেলে চোখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে ।  

আরো পড়ুনঃ চাল তুষ তেল হচ্ছে ধানের খোসা থেকে নিষ্কাশিত তেল

আয়রন এবং এনটিআর অক্সিডেন্টের ভালো উৎস হওয়ায় বিট জুস রক্তশূন্যতা রোধ করে। এটি খেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি ১২ ও পাওয়া যায়।  

লিভার সুস্থ রাখতে বিটরুট কার্যকরী ভূমিকা রাখে বিটরুট কেন খাবেন

লিভার সুস্থ রাখতে বিটরুট কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এতে থাকা ফাইবার শরীর ডিটিক্সফাই করে। কিডনি ও পিত্তথলিতে পাথর জমা প্রতিরোধে সাহায্য করে বিটরুট। এছাড়া নিয়মিত এজুস উৎস রক্তচাপ কমে সেই সঙ্গে পাকস্থলীতে এসিড জমা ও রোধ হয়। নানাভাবে বিটরুট খাওয়া যায়। এটি কাঁচা বা জুস করে বা রান্না করে খেতে পারেন তবে জুস করার সময় গাজর, শসা, সেলেরি যোগ করলে আরো উপকার পাওয়া যাবে। সালাত তৈরি করতেও বিটরুট ব্যবহার করতে পারেন।  

বিটরুটে ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় হজম ক্ষমতা উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা প্রতিরোধ করে। হৃদরুটে থাকা আইরন রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে তত স্বল্পতার যোগী কমাতে সাহায্য করে।  

বিটরুট মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালক বাড়িয়ে দেয় বিটরুট কেন খাবেন

বিটরুট মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালক বাড়িয়ে দেয় এবং মস্তিষ্কের কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে । কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য বিট রোড কার্যকরী সবজি । রক্তের কোলেস্টেরল বেশি থাকলে বিটের জুস তা কমাতে সাহায্য করে। এটি অন্তরে ভালো ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।  

শরীরের জন্য অনেক উপকারী হলেও একটানা নিয়মিত না খেয়ে সপ্তাহে ৪-৫ দিন খাওয়া ভালো। যাদের নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা আছে তাদের জন্য বিটরুট ক্ষতিকর। কারণ এটি রক্তচাপ আরও কমিয়ে দেয়। 

অনেকের বিটরুটে এলার্জি হয়ে থাকে যার ফলে ফুসকুড়ি চুলকানি জ্বালাপোড়া হতে পারে এলার্জি সমস্যা হলে এটি খাওয়া উচিত না ।  

ডায়াবেটিস থাকলে বিদরুট খাওয়া যাবে না বিটরুট কেন খাবেন

ডায়াবেটিস থাকলে বিদরুট খাওয়া যাবে না। বিটের গাই মেসিক ইনডেক্স অত্যন্ত বেশি ফলে রক্তে শকরার মাত্রা বেড়ে যাবে দ্রুত। তাই যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত তারা বিটরুট খাদ্য তালিকায় রাখতে চায়লে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। 

বিট রুটের উপকারিতা নিয়ে কোন বিষয়ে জানতে বা বুঝতে অসুবিধা হলে তা নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। 




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

rhblogger নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url