চাল তুষ তেল হচ্ছে ধানের খোসা থেকে নিষ্কাশিত তেল

চাল তুস তেল হচ্ছে ধানের তুষ বা খোসা থেকে নিষ্কাশিত তেল। মূলত ধানের তুষ সরানোর পরে চালের গায়ে বাদামে যে অংশ থাকে ওখান থেকে এই তেল নিষ্কাশন করা হয়। এটা উচ্চ সোমক পয়েন্ট (২৩২ ডিগ্রী সেলসিয়াস বা ৪৫০ ডিগ্রি ফা ) মৃদুগন্ধ এবং উচ্চ তাপমাত্রার জন্য সুপরিচিত এটা রান্নার তেল  ।



পোস্ট সূচীপত্র ঃ

ব্যবহার

ব্যবহার। রাইস ব্র্যান অয়েল বা চালের তেল হচ্ছে একটি ভোজ্য তেল যা উদ্ভিজ ঘি প্রস্তুতিতে ব্যবহার করা হয। চালের তুষ দিয়ে থেকে চালতুষ মোম তৈরি করা হয়। যা প্রসাধনী মিষ্টান্ন ,জুতার কালি ,  মসৃণকারী ইত্যাদিতে করনাউবা মোমের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়। 

আরোপড়ুন  ঃ ই-সিম কি? কোন কোন ফোনে এই সিম কাজ করবে 

রাইস ব্র্যান অয়েল বা চালের তেল 

উপাদান

উপাদান। চাল তুষের উপাদান প্রায় বাদাম তেলের কাছাকাছি । এতে ৬৮ পার্সেন্ট মনোআন স্যাচু রেটেড এবং ২৫ পার্সেন্ট সম্পর্কিত ফ্যাটি অ্যাসিড।   


স্বাস্থ্য উপকারিতা

স্বাস্থ্য উপকারিতা। চাল তুষ তেলের উপাদান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অরাইজানল। কোলেস্টেরল এক পর্যালোচনায় ঢাকা গেছে রাইস ব্র্যান অয়েল এবং এর উপাদান সমূহ মোট রক্ত রস কোলেস্টেরল কমায় ও ট্রাইগ্লিসারয়েড কমায় এবং এইচ ডি এল । কোলেস্টেরল বাড়ায় । 

মনোপজ

মনোপজ । একটি ছোট গবেষণায় দেখা গেছে তুশ তেলের গামা ওরাই জানল থাকার কারণে যে সকল মহিলারা চার থেকে ছয় সপ্তাহ বিশুদ্ধ তেল গ্রহণ করে থাকে তাদের ঋতু চলাকালীন সময়ে 90 ভাগের শারীরিক প্রদাহ কম হয়।  

আরো পড়ুন ঃ বিটরুট কেন খাবেন বেট রুটের যত উপকারিতা

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্থায়িত্ব

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্থায়িত্ব। একটি পাত্রে তুষ্টেল দিয়ে উত্তপ্ত করলে দেখা যায় অবশেষে স্যাম্পলে প্রাপ্ত  অরাইজানলের এর পরিমাণ প্রায় আগের মত আছে। এমনকি ১৮০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ৮ ঘন্টা জালালেও এটা অখুন্ন থাকে। তবে এই মাইক্রোওয়েট চুলায় অরাইজানলের তাপমাত্রা কমে যায়  

ক্যালসিয়াম শোষণ

ক্যালসিয়াম শোষণ। চাল তুষ তেলের কলেস্টেরল কমাতে ভূমিকা রাখে। এর উপাদানের ক্যালসিয়াম শোষণের ক্ষমতা আছে তাই এটা নির্দিষ্ট ধরনের কিডনি পাথর তৈরির হার কমাতে পারে।  

ইনসুলিন প্রতিরোধ

ইনসুলিন প্রতিরোধ। ইঁদুরের ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে রাইস ব্যান্ড অয়েলের ইনসুলিন প্রতিরোধে সহায়তা করে। 

ধানের তুষ থেকে বা খোসা থেকে যে নিষ্কাশিত তেল তৈরি করা হয় তা শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং শরীরের কোলেস্টেরল কমাতে সহযোগিতা করে। তাই ধানের তুর বা খোঁচা থেকে নিষ্কাশিত তেলের বিষয়ে বুঝতে অসুবিধা হলে তা কমেন্ট করে জানাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

rhblogger নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url